ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তুরস্কের মধ্যস্থতায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আবারও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মধ্যস্থতায় খোদ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির সমঝোতার ওপর জোর দিচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
ইস্তাম্বুলে দুটো দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এখানে দু’পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হয়েছে। খবর বিবিসির
মঙ্গলবারের আলোচনা তিন ঘণ্টা ধরে চলে। ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের কাছে অগ্রাধিকারে ছিল যুদ্ধবিরতির সমঝোতা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার আলোচনা শুরুর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি আহবান জানান ‘যুদ্ধের এই ট্রাজেডি’ বন্ধ করার জন্য। তিনি বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট ফলাফলে’ পৌঁছানোর জন্য এখনই সময় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এ ধরনের আহ্বান বের হওয়ার পরও বৈঠক যে খুব বেশি একটা ফলপ্রসূ হবে সে রকম কিছু আশা করা হচ্ছে না।
ইউক্রেন বলছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ না দিয়ে তাদের নিরপেক্ষ থাকার যে দাবি মস্কো জানিয়েছে, তারা সেটি বিবেচনা করবে। তবে তারা তাদের ভৌগলিক অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপস করবে না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার দেশের নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার কথা বললেও তিনি বলেছেন এ বিষয়ে গণভোট হতে হবে এবং সেটা হবে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই।
সেটা হতে কত সময় লাগবে এবং ক্রেমলিন এটা মেনে নেবে কি-না, তা বলা কঠিন।