সবজির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম

বাজারে প্রতিনিয়তই আসছে শীতের সবজি। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচ, নতুন আলু, মূলা, শিম এবং বেগুনের দাম কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে ভরা মৌসুমেও শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস এবং ডিমের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। কেবল শসা ও টমেটো দাম বেশি। এ সবজি দুটো বেশি দামে কেনা হয়, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। ভোক্তাদের অভিযোগ, শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও অন্যান্য বছরের মতো দাম কমছে না। বরং দাম অনেক বেশি।

মধ্যবাড্ডা বাজারের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আজকেও শিম কিনতে হয়েছে ৫০ টাকা কেজিতে। মাঝারি মানের ফুলকপি কিনতে হয়েছে ৩৫ টাকা করে। এখন সবজির মৌসুম তারপরও সবজির দাম সেভাবে কমছে না।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তোহে বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা কেজিতে। আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে।

এক সপ্তাহ আগে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে। ৫০ টাকা কেজির শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে। ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মূলা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজিতে। ৮০ টাকা কেজির বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। পটল ও লতির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। আর ৩০ টাকা কেজির পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজিতে।

পেঁয়াজসহ পাতা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। শুধু পেঁয়াজের পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে।

তবে শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি। এক্ষেত্রে কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে।

কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। যা সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৪৫-৬০ টাকা, আকার ভেদে ফুলকপি ২০-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা এবং লালশাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার আপ-ডাউন করে দাবি করে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকালের চেয়ে আজ কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম বেড়েছে। তবে তা সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। এখন সবজির মৌসুম তাই সবজির দাম কমবেই।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজিতে। মাঝারি মানের রুই ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকায়। বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। পুঁটি মাছ ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-৭০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, মাংসের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। এর আগের সপ্তাহেও একই দরে বিক্রি হয়ে মাংস।

অন্যদিকে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন। অর্থাৎ ৪০ টাকা হালিতে। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। আদানি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাজ্জাদের পরিবারের সাথে মাওলানা রাব্বানীর সাক্ষাৎ 

নূর নিউজ

১৩ দিনে হজের নিবন্ধন করেছেন ৮২৪ জন

নূর নিউজ

বারিধারা মাদ্রাসা থেকে মুফতি মনির হােসেন কাসেমী ও হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী বহিষ্কার

আনসারুল হক