ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আসআদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে বিশে অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, উপদেষ্টা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, দপতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী। সম্মেলনে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা রাজনীতি করে এমপি, মন্ত্রী হয়ে নিজেদের আখের গোছাতে চাই না, আমরা রাজনীতি করি ইবাদ হিসেবে। কাজেই লোভ লালসা পরিহার করে একমাত্র দীন প্রতিষ্ঠার লড়্গ্েয ওলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেণ ওলামায়ে কেরাম এক হলে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে বেশি সময় লাগবে না। তিনি বলেণ, তাগুতি শক্তির সহযোগী না হয়ে দীন প্রতিষ্ঠার জন্য ওলামায়ে কেরামকে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বত্র ওলাময়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, কিছু করার আগে লড়্গ্য ঠিক করে নিতে হবে। লড়্গ্য ঠিক না কলে গšত্মব্যস্থানে পৌঁছা সম্ভব হবে না। ওলামায়ে কেরামকে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি না করে লড়্গ্য নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। তবেই দেশে ইসলামী শাসন কায়েম সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন নিয়ে এত প্রশ্ন যে, এখানে বড় কোন আলেম নেই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতৃত্বে কোন বড় আলেম? সেখানে তো কোন প্রশ্ন নেই। তবে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এত প্রশ্ন, বুঝতে হবে আমরা ইসলামী শাসন চাই না। তিনি বলেন, ইসলাম সমাজ প্রতিষ্ঠার করতে হলে সকলকে ভেদাভেদ ভুলে এক হতে হবে এবং সমাজে ওলামাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।