খালিদ বিন মোহসেন শারি নামে এক সৌদি নাগরিক সরকারের চাপে বাধ্য হয়ে ওজন কমিয়েছেন। ৬১০ কেজি ওজনের খালিদ জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে ভারী হওয়ার রেকর্ড গড়েন। তার ওজন এত বেশি ছিল যে নড়তে-চড়তেই পারতেন না। এ জন্য পুরো তিনটি বছর বিছানাতেই শুয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওজনের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারতেন না তিনি। পরে খালিদের ওজন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় খোদ সরকার। ফলে নড়েচড়ে বসে খোদ সৌদি সরকার। এরপর দেশটির বাদশাহের নির্দেশেই ওজন কমাতে বাধ্য হন ওই ব্যক্তি। তখন ৫৪২ কেজি ওজন কমান খালিদ।
ওজন কমানোর পর সৌদি এই নাগরিকের ওজন এখন ৬৩ কেজি। খালিদের জীবন অবিশ্বাস্যভাবে বদলে দেওয়ার মূল কারিগর প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ। তার নির্দেশেই ওজন কমাতে বাধ্য হন খালিদ। শুধু নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, খালিদের জন্য বিনে পয়সার উন্নতমানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বাদশাহ আব্দুল্লাহ।
পরে বিশেষভাবে নকশা করা বিছানা ও ফর্কলিফটের সাহায্যে জাজানে খালিদের বাড়ি থেকে তাকে রিয়াদের কিং ফাহাদ মেডিকেল সিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর খালিদের চিকিৎসায় লেগে পড়েন ৩০ জনের একটি মেডিকেল টিম। ওজন কমানোর এই যাত্রায় খালিদকে সাহায্য করেছেন সার্জেন, ডায়েটেশিয়ান, ফিটনেম এক্সপার্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ। ওজন কমানোর পর খালিদকে এখন চেনাই যাচ্ছে না।
প্রথম ছয় মাস খালিদের গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি, বিশেষ ডায়েট, নিয়ম মেনে ব্যায়াম এবং ফিজিওথেরাপি করা হয়। এতে তার ওজন অর্ধেক কমে আসে। এরপর অতিরিক্ত চামড়া ফেলে দিতে তার একাধিক সার্জারি করা হয়। এভাবে ২০২৩ সালে খালিদের ওজন ৬৩ কেজিতে পৌঁছলে তাকে যেন চেনাই যাচ্ছিল না। উল্টো মিষ্টি হাসির জন্য সবার কাছে পরিচিত পেয়েছেন স্মাইলিং ম্যান হিসেবে।