প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ আমরা করবো না।…কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, কখনও যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়; আমরা যেন তা প্রতিরোধ করতে পারি এবং আমরা যেন আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি।’
আজ মঙ্গলবার শরীয়তপুরের জাজিরায় ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কখনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ হলে যেন মোকাবিলা করতে পারি, সেদিক লক্ষ্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি।’
‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই পররাষ্ট্রনীতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ছোট দুই ভাই (শেখ কামাল ও শেখ জামাল) সেনাবাহিনীতে ছিল। ছোট ভাই রাসেলেরও ইচ্ছা ছিল আর্মি অফিসার হবে, হতে পারেনি। আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তার নামে সেনানিবাস করায়। এরমধ্য দিয়ে রাসেলের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হলেও নামটা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকলো।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাস দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা, প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নৌপথের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। পদ্মাসেতুর নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শেখ রাসেল সেনানিবাসের সদস্যরা সেনাবাহিনীর নিয়মিত অপারেশনাল প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড অত্যান্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও অত্র এলাকার সার্বিক মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সেনানিবাস পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেনা সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পেশাগত উৎকর্ষতার মানোন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সুদক্ষ সেনাবাহিনী গঠনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।