সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ছিলেন খালেদা জিয়া

গত সাড়ে ৪ বছরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে, ম্যাডামকে আওয়ামী লীগ সরকার জেলখানায় নেওয়া পর কারান্তরীণ করে একাকিত্বের মধ্যে ফেলে রেখেছে, তাকে চিকিৎসা দেয়নি। তাকে আস্তে-আস্তে সংকটাপূর্ণ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এগুলো ছিল সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ।’

কারাবন্দি থাকা অবস্থায় সরকার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও তার যে ধরনের চিকিৎসার দরকার ছিল সেটি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন ডা. জাহিদ।

তিনি বলেন, আজ ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কয়েকদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ২১ আগস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। আজ ১২ সেপ্টেম্বর আবার তাকে ভর্তি করতে হয়েছে।

দ্রুততম সময়ে বিদেশে চিকিৎসা

কারামুক্ত হওয়ার পরও এখনো খালেদা জিয়াকে কেন দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে না সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, একজনকে বাইরে নেওয়ার জন্য শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ চাপ সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হবে। প্লেন ল্যান্ড করার সময় চাপ সহ্য করার শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে। ম্যাডামের চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড আলোচনা করছে। তারা ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সম্ভব দ্রুততম সময়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি উন্নত সেন্টারে নেওয়ার বিষয়টি দেখছেন। খালেদা জিয়ার এমন কিছু রোগ সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো বাইরে উন্নত সেন্টার ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব নয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলাম ও দেশ ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে

নূর নিউজ

জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নূর নিউজ

নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

নূর নিউজ