দেশের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা ঘিরে আদালত পাড়ায় উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা হবে। দেড় বছর ধরে চলা এই মামলার দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১২ জানুয়ারি এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
জানা গেছে, আজ সকাল থেকেই আসামি ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ, আইনজীবী, পুলিশ, সাংবাদিকদের উপস্থিতিও বাড়ছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আসামিদের আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনা হবে। এরপর আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে আদালতে আসামিদের আনা হবে। কী কারণে সময় পেছানো হয়েছে তা জানাননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।