রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোয় উত্তর ইউরোপের দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেওয়া এখন বিশ্ব রাজনীতির আলোচিত বিষয়। কিন্তু জোটের অন্যতম সদস্য তুরস্ক কিছু ‘শর্ত’ জুড়ে দেওয়া দেশগুলোর সদস্যপদ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘সবার আগে যে কথা বলতে চাই তা হলো—যারা তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদেরকে ইতিবাচক কিছু বলবো না। কারণ, তাদেরকে ইতিবাচক কিছু বললে ন্যাটো আর সামরিক জোট থাকবে না। সেখানে (পিকেকে—কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি) “সন্ত্রাসীদের” প্রতিনিধিত্ব চলে আসবে।’
আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধিদের তুরস্কে এসে তাদের সদস্যপদের আবেদনের বিষয়ে আঙ্কারার অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।’
এরদোয়ান আরও জানান, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ‘কয়েকবার’ বৈঠক করেছেন। কিন্তু, সেই ২ দেশের কর্মকর্তারা (পিকেকেসহ) সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সম্পর্কে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেননি।
তুরস্কে জাতিগত সংখ্যালঘু কুর্দিদের নাম উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, ‘তারা মুখে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বললেও তারা তাদেরকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করেনি।’
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মতে, সুইডেন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ‘আস্তানা’। উত্তর ইউরোপের দেশটি তাদের পার্লামেন্টে ‘সন্ত্রাসীদের’ কথা বলার অনুমতি দেয়।
‘তারা সন্ত্রাসীদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানায়। তাদের পার্লামেন্টে পিকেকেপন্থি সদস্য আছে। তাদেরকে কেমন করে বিশ্বাস করবো?’, যোগ করেন এরদোয়ান।
গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি এই দুই দেশের ন্যাটো সদস্য পদ পাওয়ার সম্ভাবনাকে ‘ইতিবাচকভাবে’ দেখছেন না। তার মতে, দেশ ২টি এখনো কুর্দি ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে’ আশ্রয় দিচ্ছে।
তুরস্কে কুর্দি-প্রধান অঞ্চলে গত কয়েক দশক ধরে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে কুর্দিস্তান পিপলস পার্টি (পিকেকে)। তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।