সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে পুরো বিশ্ব। আন্দোলন চলছে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে। এমনকি স্বয়ং সুইডিশ সরকার ওই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় (৮ জুলাই) শুক্রবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজার সামনে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন নিউইয়র্কে অবস্থানরত মুসল্লিরা।
জানা যায়, জ্যাকসন হাইটসের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জুমার নামাজ পড়ে মুসল্লিরা একত্রিত হতে থাকেন। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। বক্তব্যে আন নূর কালচারাল সেন্টার নিউইয়র্কের পরিচালক মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, পবিত্র কোরআনে আগুন দেয়ার মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলিম এ ঘটনায় হৃদয়ে ব্যথা পেয়েছে। কোন ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থে আগুন দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর সেই ঐশী বাণী সম্বলিত কিতাব যা মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোতে যেতে পথপ্রদর্শন করে। মানুষকে প্রকৃত শান্তির দিশা দেয়। বিশ্বের সকল মুসলমান বিনা বাক্যে বিশ্বাস করে যে, কুরআনের সকল কথা সত্য এবং অবশ্য পালনীয়। তারা বিশ্বাস করে কোরআনের কারণে মানবজাতি অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখেছি। সেই গ্রন্থ পোড়ানোর মাধ্যমে মুসলিমদের হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।
সম্প্রতি পবিত্র কোরআন পড়ানোর ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে হতাশা ব্যক্ত করে মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সারা বিশ্বে কোরআনের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে এবং যেকোন মূল্যে কোরআন পোড়ানোর এই ঘটনা প্রতিহত করতে হবে। এজন্য মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো বিশেষত ওআইসি এবং আরব রাষ্ট্রগুলোকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,