নূর নিউজ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘যখন আমি ঘরের মধ্যে স্লোগান শুনি, তখন ভীত হয়ে যাই। আর এই স্লোগান যখন আমি রাজপথে শুনি, তখন সাহসী হয়ে যাই। স্লোগান ঘরের মধ্যে নয়, রাজপথে দিতে হবে, সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই স্লোগান যখন আওয়ামী সরকারের কানে পৌঁছাবে, তখন এই সরকার নড়বড়ে হয়ে যাবে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক সমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপিনেতা এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও সাজা বাতিল এবং কেন্দ্রীয় প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ করে খুলনা বিভাগীয় নেতারা।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সভ্য দেশ ও সভ্য সরকার হলে অবশ্যই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত। কিন্তু এই সরকার সেটা করেনি, আর করবেও না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের (সরকার) কাছে আর আশাও করতে পারি না। তারপরও আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাব। খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এই সরকারকে। আজ হোক কিংবা কাল হোক, মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
ঢাকার সাবেক এই মেয়র সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশে করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। টিকা নিয়ে কারচুপি করলেন, টিকার কারণে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় এই সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারেরও করুণ পরিণতি হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।