৩ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় খাস কমিটির এক জরুরী সভা আজ বিকেল ৩ টায় জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক , মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থসম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী,‌প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমূখ।

সভায় পরামর্শক্রমে ৫ মে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ২০২১ সালে মোদীবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের ছাত্রজনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আ’ লীগের আমলে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবীতে আগামী ৩ মে ২০২৫ শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং আগামী জুন মাসে সকল জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় গৃহীত আরেক প্রস্তাবে বলা হয় যে,
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করুন।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল এদেশে ষোলটি বছর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। বাংলাদেশের মাটিতে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দল হিসেবেই সত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতছিল। দেশে ঘুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এবং ১৯৭৮ সালের ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স, ’ অনুযায়ী সরকার চাইলে আ লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে।
এই দাবী আদায়ে দেশের স্বার্থেই সব মত-পথ ও ঘরানার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হেফাজত নেতৃবৃন্দ ইসলাম দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকল ইসলামী দল ও ওলামায়ে কেরামের ঐকোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানরা একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বাস করছে। সমাজে, রাষ্ট্রে, সব জায়গায় ইসলাম ও ইসলামপ্রিয় জনগণকে কোণঠাসা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দেশের সাস্কৃতিক অঙ্গনেও বইছে বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন। ভারত থেকে গাজা ফেনসিডিল ও মাদক দ্রব্যের পাশাপাশি অশ্লীলতাও আসছে বন্যার পানির মত। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালতে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টরা জোরেশোরে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের মুসলমানরা এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে ।

তাই জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আলেম সমাজ ও ইসলামী শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ গরীব, অভাবের সংসার। কষ্টে দিন যাপন করছে।
অভাবীকে খাবার দেওয়া, অসুস্থ মুসলিম ভাইয়ের সেবা করা কিংবা কেউ বিপদে পড়লে তাদেরকে সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ইসলাম আমাদেরকে এটাই শিক্ষা দিয়েছেন ।
আমাদের আশেপাশে যারা গরীব অসহায় দরিদ্র রয়েছে , যারা চলাফেরা করতে পারেনা কিংবা তাদের কোন আয়ের উৎস নেই তাদের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করুন। ৫ মে শাপলা, ২১ সালে শহীদ ও আহত পরিবারকে সাহায্য করুন।
পবিত্র মাহে রমজান আমাদের জন্য মোক্ষম সময়, রাসূল সা. এর মহানুভবতা, মানবতা ও আতিথেয়তার নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অসহায় বৃদ্ধ, দিনমজুর, মিসকিন ও পথশিশুদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানোর জন্য পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে তাদের সহযোগিতায় দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রাসিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো

নূর নিউজ

বাংলাদেশ থেকে দ. কোরিয়ায় ইমাম নিয়োগ

আনসারুল হক

‘প্রতিটি মুসলিমের প্রয়োজনীয় দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব’

আনসারুল হক